১৬টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (কম্পিউটার ও মোবাইলের জন্য)

আপনি কি কম্পিউটার এবং মোবাইলের জন্য সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুঁজছেন? প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং: কোন সফটওয়্যারটি আপনার জন্য সেরা? জানতে চাইলে এই পোস্ট আপনার জন্য। আমি এমন কিছু কম্পিউটার এবং এন্ড্রয়েড মোবাইলের অ্যাপস নিয়ে কথা বলবো যেগুলোর মাধ্যমে অনেক সহজে প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
ইউটিউবার বা অভিজ্ঞ এডিটর এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য সেরা সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আবশ্যক। অথবা যারা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও বা শর্ট ফিল্ম, মুভি বানাতে চান তাদের জন্য ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আবশ্যক। আপনারা এই এডিটিং অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
তো চলুন কম্পিউটার বা ফোনের জন্য সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কোনগুলো তা দেখে নেই। এখানে কিছু জনপ্রিয় এবং সেরা সফটওয়্যার এবং অ্যান্ড্রয়েড আপস এর তালিকা দেওয়া হলো:
০১। অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো (Adobe Premiere Pro)
ভিডিও এডিটিং এর জন্য অন্যতম সেরা একটি সফটওয়্যার হলো এডোবি প্রিমিয়ার প্রো। Adobe Premiere Pro একটি টাইমলাইন (Timeline) ভিত্তিক ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন। আমরা সবাই এডোবি প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে কমবেশি জানি। এডোবি সফটওয়্যার গুলো অনেক শক্তিশালী এবং মানসম্মত হয়ে থাকে।
এডোবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড ২০০৩ সালে এই সফটওয়্যারটি উন্মোচন করে। বিবিসি নিউজ এবং সিএনএনের মতো বড়-বড় নিউজ প্রতিষ্ঠান এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করে থাকে। এছাড়া অনেক জনপ্রিয় ইংলিশ মুভি এডোবি প্রিমিয়ার প্রো দ্বারা এডিট করা হয়। Deadpool, Avatar এবং Superman এর মতো মুভিতেও এডোবি প্রিমিয়ার প্রো ব্যবহার করা হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট, লেয়ার অ্যাডজাস্টমেন্ট, ভিডিও ট্রানজিশন, টাইম রেন্ডারিং, ক্লিক স্পিড, ট্রাকিং ইফেক্ট ছাড়াও আরো অনেক অনেক ফিচার আপনি প্রিমিয়াম প্রো তে পাবেন।
মোবাইল ভার্সনঃ আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে Adobe Premiere Rush এই আপস ইন্সটল করতে পারেন গুগল প্লে স্টোর থেকে।
০২। সাইবারলিংক পাওয়ার ডিরেক্টর (CyberLink PowerDirector)
সাইবারলিংক পাওয়ার ডিরেক্টর একটি অনবদ্য ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বিশেষ করে প্রফেশনাল ইউটিউবারদের জন্য উপযুক্ত। CyberLink PowerDirector একটি সাশ্রয়ী মূল্যের, সাবস্ক্রিপশন-মুক্ত ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার শাটারস্টক লাইব্রেরিতে অ্যাক্সেস সরবরাহ করে।
এই সফটওয়্যারে আপনারা বিভিন্ন ধরনের এডভান্স ফিউচার পেয়ে যাবেন। সাধারণ ফিচারগুলোর সাথে সাথে কিছু প্রিমিয়াম ফিচার পাবেন যা অন্য কোন অ্যাপ্লিকেশনে পাবেন না, এই সফটওয়্যার টি বিগিনার ইউটিউবার কিংবা প্রফেশনাল ইউটিউবার যে কারো ক্ষেত্রে অনেকেই এটিকে তাদের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে রাখেন।
এছাড়াও পাওয়ার ডিরেক্টর সফটওয়্যারটি 360° ভিডিও, 4K ভিডিও সাপোর্ট করে। তাই খুব সহজেই আপনি সকল ডাইমেনশনের ভিডিও এডিট এবং সেভ করতে পারবেন।

মোবাইল ভার্সনঃ আপনি চাইলে PowerDirector আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে ইন্সটল করতে পারেন। এটিতে বিভিন্ন টুলস ছাড়াও কালার এডজাস্টমেন্ট, মাল্টি ক্যাম এডিটিং, মোশন ট্রাকিং, ভিডিও কোলাজ সহ অসংখ্য ফিচার রয়েছে। এসব ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার এডিটিং হবে অনেক প্রাণবন্ত।
০৩। ফাইনাল কাট প্রো (Final Cut Pro)
অ্যাপলের ফাইনাল কাট প্রো একটি সব থেকে সেরা শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, যা পেশাদার ভিডিও এডিটরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। টি টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের সমস্ত মিডিয়া জুড়ে ব্যবহৃত হয় – অন্তত যারা অ্যাপল কোম্পানির ম্যাক ব্যবহার করে। প্রিমিয়ার প্রো থেকে এটি বেছে নেওয়ার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল এটি সাবস্ক্রিপশন-মুক্ত: আপনি একবার কিনে নিলে সারাজীবন ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়াও Final Cut Pro সফটওয়্যারটি 360° ভিডিও, 2K, 4K, 5K এবং 8K ভিডিও সাপোর্ট করে। এটি সংমিশ্রিত ভিডিও ট্র্যাকগুলির একটি সংখ্যা সমর্থন করে, সীমাহীন অডিও, একাধিক ভিডিও, স্ট্যান্ডার্ড রিপল, রোল, স্লিপ, স্লাইড, স্ক্রাব, রেজার ব্লেড এবং টাইম রিম্যাপিং এডিট ফাংশন। এটিতে কালার সিলেকশন, স্লাইডার এবং কার্ভ, ভিডিও স্কোপ এবং স্লাগ, কালার সংশোধন টুলস রয়েছে।
০৪। ওয়ান্ডার শেয়ার ফিলমোরা (Wondershare Filmora)
জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে Wondershare Filmora অন্যতম। ভিডিও এডিটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল ফিচারই আপনি ওয়ান্ডার শেয়ার ফিলমোরা তে পাবেন। এই সফটওয়্যার দিয়ে ট্রিম করা, কালার এডজাস্ট করা, লেয়ার যোগ করা, ট্রানজিশন দেওয়া এবং ক্রপ করা এছাড়াও আর বেশ কিছু অপশন রয়েছে।

সবচেয়ে ভালো দিক হলো যে, এই Wondershare Filmora আপনি মোবাইল ডিভাইস এবং কম্পিউটার ডিভাইস এই দুটোতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
মোবাইল ভার্সনঃ ওয়ান্ডার শেয়ার ফিলমোরা মোবাইল অ্যাপ FilmoraGo একটি উন্নত মানের শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং এপস। এই মোবাইল ভিডিও এপসটি ব্যবহার করে আপনারা সম্পূর্ণভাবে একটি প্রফেশনাল কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করতে পারবেন এই এপসটির সব থেকে ভালো দিক হলো এটি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন।
০৫। কোরাল ভিডিও স্টুডিও (Corel VideoStudio)
Corel VideoStudio Ultimate হল ভিডিও এডিটিং স্পেসের একটি সুপরিচিত নাম — সফ্টওয়্যারটির প্রথম ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। প্ল্যাটফর্মের সর্বশেষ সংস্করণ, VideoStudio Pro 2023, উন্নত রঙের গ্রেডিং বিকল্প, আরও এডিটিং টুলস, এবং একাধিক ভিডিও ওভারলে করার জন্য ভালো একটি সফটওয়্যার।

এটিতে রয়েছে বেস কিছু নতুন স্পেশাল ফিচার যেমন অ্যানিমেটেড AR স্টিকার, ফেস ইফেক্ট এবং ক্যামেরা মুভমেন্ট ট্রানজিশন, ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ এডিটিং ইন্টারফেস, ইনস্ট্যান্ট প্রজেক্ট টেমপ্লেট, Gif ক্রিয়েটর এবং স্পিচ টু টেক্সট কনভার্টার অন-দ্য-ফ্লাই ভিডিও তৈরি ও এডিটিং করতে এবং শেয়ার করতে।
০৬। ক্যামটাসিয়া স্টুডিও (Camtasia Studio)
ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে ক্যামটাসিয়া স্টুডিও কথা না বললেই নয়। অল-ইন-ওয়ান ভিডিও এডিটিং এবং স্ক্রিন রেকর্ডিং সফটওয়্যার। আপনি যদি ইউটিউবে জন্য টিউটোরিয়াল ভিডিও বানাতে চান তব। নতুনদের কথা মাথায় রেখে এটি নির্মিত, ক্যামটাসিয়া ডিজাইনারদের দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে পেশাদার প্রশিক্ষণ ভিডিও তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি উইন্ডোজ এবং ম্যাক উভয় অপারেটিং সিস্টেমের জন্য করা হয়েছে।

আপনার প্রয়োজনীয় প্রায় সকল ফিচারই আপনি এই সফটওয়্যার পাবেন এবং ইউজার ইন্টারফেস অনেক সহজ। তাই যে কেউ এই সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে পারবে।
০৭। কাইনমাস্টার (Kinemaster)
Kinemaster এমন একটি ভিডিও এডিটিং মোবাইল এপস যার মাধ্যমে আপনারা অ্যাডভান্স এবং প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনারা মোবাইলে কম্পিউটারের মতো ভিডিও বানাতে পারবেন। এটি গুগল প্লে স্টোরে সব থেকে জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ।

ভিডিও এডিটিং করা এখন নিত্য প্রয়োজনীয় রূপ লাভ করেছে ৷ আরও বলাবাহুল্য যে এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং প্রত্যেক ইউটিউবার এবং টিকটকারদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে দাড়িয়েছে। আর এন্ড্রয়েড দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে বেস্ট ভিডিও এডিটিং এপ্স হল কাইনমাস্টার। এটি এমন একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ, যার মাধ্যমে খুবই নিখুঁতভাবে ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব।

এটি বিশ্বব্যাপী ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও তৈরি এবং ভিডিও সম্পাদনার জন্য ব্যবহৃত হয় কারণ এটি বিভিন্ন ধরণের ফাংশন প্রদান করে যেমন ট্রানজিশন ইফেক্ট, ইমেজ এবং ভিডিও লেয়ারিং, হস্তলিখিত পাঠ্য প্রদর্শন, অডিও ট্র্যাক, লাইভ – ইন রেকর্ডিং, ভলিউম নিয়ন্ত্রণ এবং আরও অনেক কিছু।
আরো পড়ুনঃ
০৮। ভেগাস প্রো (VEGAS Pro)
ভেগাস প্রো নন-লিনিয়ার পেশাদার ভিডিও এবং অডিও এডিটিং সহজ করেছে। Vegas Pro ভিডিও, এনিমেশন ভিডিও, ইন্ট্রো ভিডিও বা অডিও তৈরি, এডিটিং এবং মাস্টার করার জন্য একটি ভালো মানের সফ্টওয়্যার। এই সফ্টওয়্যারটি GPU শক্তি ব্যবহার করে খুব দ্রুত রেন্ডার করে।
VEGAS Pro SD, HD, 2K, এবং 4K রেজোলিউশন পর্যন্ত মিডিয়া সমর্থন করে। উচ্চ রেজোলিউশনে কাজ করা আরও সহজ এবং নমনীয়তা প্রদান করে। নতুন ভার্শনটি মাল্টি-টুল-কনসেপ্ট, প্রজেক্ট-ফাইলিং বা প্রক্সি-ফার্স্ট-ওয়ার্কফ্লো-এর মতো কিছু বৈশিষ্ট্য অফার করে যা কার্যপ্রবাহ সরলতার ক্ষেত্রে সত্যিই অসাধারণ।

এই সফটওয়্যার টা আমি নিজেও বেশ কয়েকবার ব্যবহার করেছি এনিমেটেড ইন্ট্রো ভিডিও বানানোর জন্য।
০৯। অ্যাপল আই মুভি (iMovie)
বিস্তারিত পরবর্তী আপডেটে আসছে…
১০। শর্টকাট (Shotcut)
শর্টকাট একটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার। যারা নতুন ভিডিও এডিট করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য শর্টকাট সেরা হতে পারে। শর্টকাট একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার যা আপনি সারা জীবন সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

এটা দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ডিং, অডিও এডিটর, ভিডিও কাটিং, ট্রিমিং, টেক্সট, টাইটেল, ভিডিও ইফেক্ট, প্রিসেট, ট্র্যাক, ট্রানজিশন, অ্যাডভান্স ফিচার ব্যবহার করে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারেন।
১১। দাভিঞ্চি রেজলভ (DaVinci Resolve)
দাভিঞ্চি রেজলভ (DaVinci Resolve) হলো একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং, কালার গ্রেডিং, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস এবং অডিও পোস্ট-প্রোডাকশন সফটওয়্যার। এটি Blackmagic Design তৈরি করেছে এবং চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন ও ইউটিউব ভিডিও এডিটিংয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এটি দিয়ে হলিউড লেভেলের কালার কারেকশন করা যায়। VFX – Fusion Tab ব্যবহার করে মোশন গ্রাফিক্স ও ইফেক্টস যোগ করতে পারবেন। এছাড়াও একাধিক ক্যামেরার ফুটেজ একসাথে এডিট করা যায় এবং সিনেমাটিক সাউন্ড ডিজাইন ও মিক্সিং করা যায়।

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শুরু করতে চান তবে বিনামূল্যে সংস্করণটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প। ফ্রি সংস্করণটি বেশ শক্তিশালী এবং 60fps পর্যন্ত এডিটিং এবং 4K রেজোলিউশনে আউটপুট সমর্থন করে।
১২। ইনশট (InShot)
ইনশট (InShot) ভিডিও এডিটর হলো সব থেকে জনপ্রিয় একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং এবং ভিডিও মেকার অ্যাপ, যা Android এবং iOS উভয় প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া যায়। এটি বিশেষভাবে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, কারণ এতে সহজে ভিডিও কাটিং, মিউজিক অ্যাড, টেক্সট, স্টিকার, ট্রানজিশন ও ফিল্টার যোগ করা যায়।

ইনশট ভিডিও এডিটর আপে মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট ও ভয়েস ওভার যুক্ত করার সুবিধা পাবেন এবং স্লো-মোশন ও ফাস্ট-মোশন ভিডিও মেক করতে পারবেন। এছাড়াও ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ফেসবুক ভিডিওর জন্য উপযোগী সাইজ প্রিসেট পাবেন।
১৩। ভিভাভিডিও (VivaVideo)
VivaVideo হল একটি সহজে ব্যবহারযোগ্য ভিডিও এডিটর এবং প্রো ভিডিও মেকার যা আপনাকে সহজেই রেকর্ড করতে সাহায্য করে। ভিভা ভিডিও এন্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য একটি সেরা ভিডিও এডিটিং এপস হিসেবে প্রমাণ করেছে সারাবিশ্বে। অনেক ব্লগার এবং ইউটিউবার যারা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ভিডিও করে সফলতা পেয়েছেন তারা এই সফটওয়্যারটিকে সেরা হিসাবে রিভিউ দিয়েছে।

Viva Video-তে হয়েছে শক্তিশালী ভিডিও সম্পাদনা ফাংশন। যেমনঃ ভিডিও কাটিং, ভিডিওগুলি একত্রিত করা, সঙ্গীতের সাথে ভিডিও অ্যাড করা, দুর্দান্ত ট্রানজিশন, স্টিকার যুক্ত করা, ভিডিওগুলিতে লেখা যুক্ত করুন ইত্যাদি৷
১৪। ওপেনশট (OpenShot)
বিস্তারিত পরবর্তী আপডেটে আসছে…
১৫। ক্যাপকাট (CapCut)
ক্যাপকাট (CapCut) হলো খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্রি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ, যা Android, iOS, Windows ও Mac–এ ব্যবহার করা যায়। এটি TikTok এবং সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও ক্রিয়েটরদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় টুলগুলোর একটি, কারণ এটি সহজে ভিডিও কাটিং, মিউজিক, ট্রানজিশন, সাবটাইটেল এবং স্পেশাল ইফেক্ট যোগ করা যায়।

ক্যাপকাটে রেডি-মেড টেমপ্লেট পাবেন যা দিয়ে এক ক্লিকেই শর্টস, রিলস, টিকটক ভিডিও বানাতে পারবেন। এছাড়াও স্লো-মোশন ভিডিও ও ফাস্ট-মোশন ভিডিও ইফেক্ট রয়েছে এবং অটো ক্যাপশন তৈরি করার সুবিধা পাবেন।
১৬। ম্যাজিস্টো (Magisto)
ম্যাজিস্টো ভিডিও এডিটর, মিউজিক স্লাইডশো, ফটো কলেজ এবং মুভি মেকার। ৫০ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার ইতিমধ্যেই Magisto মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত ভিডিও তৈরি করে। এটি স্টেবিলাইজেশন, অবজেক্ট ডিটেকশন, ফিল্টার এবং ইফেক্ট সহ ভিডিও এডিটিং কৌশল প্রয়োগ করে।

এই এপস’টি ব্যবহার করে যদি কেউ সঠিকভাবে ভিডিও এডিট করতে পারে তাহলে সেই ভিডিও যেকারো পছন্দ হবে। এটির সব থেকে ভালো দিক হলো আপনারা এই এপসটি ব্যবহার করে খুব সহজে এবং দ্রুত ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
শেষকথা
আপনি যদি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করতে চান, তাহলে কম্পিউটারে Filmora, DaVinci Resolve বা Camtasia ফ্রি ভার্সন দিয়েই শুরু করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে Kinemaster অ্যাপ। আর যদি ফেসবুক, ইউটিউব শর্টস, টিকটক বা রিলস বানাতে চান, তাহলে CapCut বা InShot আপনার জন্য সেরা।
উপরে যে ভিডিও এডিটর গুলোর কথা বলেছি সবগুলোই যথেষ্ট উন্নত মানের সফটওয়্যার। আশা করি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ